নিক্সন চৌধুরীদের না থামালে গণআদালতে বিচার হবে আপনাদের : কাদের মির্জা
নিক্সন চৌধুরীর মত অপরাজনীতিবিদদের যদি না থামান,তাহলে গণ আদালতে একদিন আপনাদের বিচার হবে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে ব্যবসায়ী ও পেশাজীবিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বক্তব্যের জবাবে কাদের মির্জা বলেন, ‘এ দেশে যখন যারা ক্ষমতায় আসে কিছু কিছু লোক মনে করেন দেশটা তাদের। নিক্সন চৌধুরী সাহেব,আপনি কি করেন এ দেশের মানুষ তা জানে। মিডিয়া কর্মীরা জানে, আমি আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদেরকে বলবো, আপনারা যদি নিক্সন চৌধুরীর মত অপরাজনীতিবিদদের না থামান তাহলে গণ আদালতে একদিন আপনাদের বিচার হবে।’তিনি বলেন, দুঃখের সঙ্গে আজ আমাকে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে। আমি টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে বলছি। কিন্তু আমার নির্বাচনের মধ্যেও টেন্ডারবাজি হয়েছে। আমি মন্ত্রীর নিকট টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি এবং নোয়াখালীর পানি উন্নয়নে টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে কথা বলায় এক উপজেলা চেয়ারম্যান তার কর্মীদেরকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।‘নোয়াখালীর সদরের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়াম্যান শামছুউদ্দিন জেহানের মাধ্যমে পানি উন্নায়ন বোর্ডের একটি টেন্ডার পাইয়েও দিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনকে। তারা এখন আমার বিরুদ্ধে কর্মীদেরকে দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া। সব দপ্তরে নিজেরা নিজেদের লোক দিয়ে টেন্ডারবাজি করছে। বিনিময়ে ১০/১২ শতাংশ হাতিয়ে নিচ্ছে’, বলেন কাদের মির্জা।তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডারবাজি বন্ধের কথা বলায় ওই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমি যেন এ বিষয়ে লিপটনের সাথে কথা বলি। তার মানে তারা আমাকে টাকা দিতে চায়, আমি বলে দিয়েছি এটা রি-টেন্ডার হতে হবে।মেয়র কাদের মির্জা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এরা মন্ত্রীত্ব পেয়ে দেশকে লুটপাট করেছে। এসব কথা বললে আমাকে বলে পাগল, আমি নাকি উন্মাদ।এসময় তিনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অনিয়ম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গণশুনানি করে ঘুষ বন্ধ করে জনসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি আদায় করেন।